ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

বকেয়া থাকলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে না আদানি

আপলোড সময় : ০৬-০৯-২০২৪ ০৮:২০:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৬-০৯-২০২৪ ০৮:২০:৪৫ অপরাহ্ন
বকেয়া থাকলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে না আদানি
রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া থাকলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠী আদানি পাওয়ার। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির আর্থিক ও ব্যবসা বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোল।

আদানি গ্রুপের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, বকেয়া দ্রুত পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে জানিয়েছি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে অর্থলগ্নিকারীদের চাপে আছে আদানি গ্রুপ। এছাড়া আদানি গ্রুপ আশা প্রকাশ করেছে বিলম্বের সুদসহ সব বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে।

ঝারখণ্ডে তৈরি করা আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চুক্তি আছে। প্রতিমাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানি গ্রুপকে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিতে হয় বাংলাদেশকে। তবে সময় মতো অর্থ পরিশোধ না করায় এখন বাংলাদেশের কাছে আদানির পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সমান।

২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করে বিপিডিসি। চুক্তি অনুযায়ী গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে। যা পিক পাওয়ার ডিমান্ডে বাংলাদেশে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ। ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা আদানির গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব বিদ্যুতই বাংলাদেশে আসে।

২০২৩ সালে জুনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় এবং ওই মাস থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে তারা। বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াও বাংলাদেশে আদানির ভোজ্যতেল পরিশোধনাগার এবং চাল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাওনা মার্কিন ডলারে অর্থ পরিশোধ করে বাংলাদেশ। কিন্তু গত ২৩ আগস্ট মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেটি দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে আরও ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে সংস্থাটি থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে ঢাকা।

এদিকে বাংলাদেশ যদি আদানির বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেয় এমন আশঙ্কা থেকে ভারত সরকার তাদের বিদ্যুৎ নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। এতে বলা হয়, যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র শুধুমাত্র বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে তৈরি করা হয়েছে তারা চাইলে স্থানীয় বাজারেও বিদ্যুৎ দিতে পারবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ